Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন

পাতা

ইতিহাস ও ঐতিহ্য

 

ভুমিকা ও পটভূমিঃ

 

বাংলাদেশ বিশ্বেরমানচিত্রে অন্যতম একটি দূযোর্গ প্রবন দেশ। বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রায় ২৫০নদী যার সবগুলিইর উৎপত্তিস্থল দেশের বাইরে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ প্রতিবছরই কোন না কোন দূর্যোগে আক্রান্ত হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ গুলোর মধ্যে বন্যা, খড়া, নদীর পাড় ভাঙ্গন, কালবৈশাথী ঝড়, টর্নোডো ইত্যাদি। এছাড়াও বৃক্ষনিধনসহ নানাবিধ কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। দূযোর্গ প্রবন এই দেশটির একটি অন্যতম দুর্যোগ প্রবন জেলা লালমনিরহাট। যা শুধু দরিদ্র নয় মঙ্গা কবলিত এলাকা হিসেবেও পরিচিতি। লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার অর্ন্তগত পলাশী ইউনিয়নের দক্ষিন পাড় দিয়ে বয়ে গেছে যার ফলে এই ইউনিয়নটি বন্যাসহ নানা ধরণের আপদে আক্রান্ত হয়ে থাকে। উক্ত দুর্যোগগুলো হতে জনগন বিশেষকরে দরিদ্র জনগোষ্ঠি মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যা উত্তরণে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন। পলাশী ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এটি উপজেলা সদর হতে প্রায় ০৭ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। পলাশী ইউনিয়ন থেকে লালমনিরহাট সদরের দুরুত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার। পলাশী ইউনিয়নের দক্ষিন দিকে মহিষাশহর গ্রামের বাঁধে তিস্তা নদী পার হয়ে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় যাওয়া যায়। লালমনিরহাট সদর থেকে পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বুড়ীমারী স্থলবন্দর যাওয়ার মূল সড়কটি প্রায় ৫ কিলোমিটার পলাশী ইউনিয়নের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে।

 

ইউনিয়নের নাম করণঃ

 

পলাশী ইউনিয়নটির নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের মত প্রচলিত আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মোঘল বংশের সর্বশেষ সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় বাহাদৃর শাহ্। মোঘল বংশের পতনের শেষদিকে দ্বিতীয় বাহাদৃর শাহ্ এর নবমতম পুরূষ সুলতান কামাল উদ্দিন বাকের অধঃস্তন জং বাহাদুর বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলের রংপুর শহরে রাজধানী নির্মাণ করতঃ নিজেকে বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান ঘোষনা করেন।তৎকালীন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে রংপুর জেলার কালেক্টর মিঃ গুটলাক সাহেবের সঙ্গে সংঘর্ষ বার্ধ। নবাব বাকের জং বাহাদুর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে নবাব পাটগ্রাম হইতে নিজে সেনাবাহিনীসহ রাজধানী ফুল চৌকির দিকে অগ্রসর হতে থাকলে দিবা ও নিশা নামীয় দুই নর্তকীর বিম্বাস ঘাতকতায় মোঘলহাটে অবস্থানরত কোম্পানীর সৈন্যবাহিনীর পথ প্রদির্শকা হিসেবে দিবা ও নিশা পরবর্তীতে কাকিনা ও বামনডাঙ্গার জমিদারী লাভ করেন। অবশেষে রামদেবা নামকস্থানে নবাব বাকের জং ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সম্মুখীন হন। দিবা ও নিশার চক্রান্ত ও বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব এই যুদ্ধে গুরুতরভাবে আহত হন। রামদেবা পরবর্তীতে বিশ্বাসভঙ্গের স্থান হওয়ায় এই অঞ্চল স্বাধীন বাংলার অস্তগামী স্থান পলাশীর নামানুসারে পলাশী নামে খ্যাত হয়। উল্লেখ্য দিবা ও নিশা নবাব বাকের জং এর রাজ নর্তকী ছিল।

 

এছাড়াও কারো কারো মতে, প্রাক বিট্রিশ আমলে এই ইউনিয়নে আব্দুল বারী নামে একজন জমিদার বাস করতেন। তিনি খুব জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তারবাড়ী ছিল তালুকপলাশী গ্রামে। তার গ্রামের নামানুসারে এই ইউনিয়নের নাম করণ করা হয় ‍"পলাশী"।